1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

ডাকসু : নির্বাচন থেমে থাকলেও, থেমে নেই খরচের অংক

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২
  • ১০৩২ Time View

জাননাহ, ঢাবি প্রতিনিধি: ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।সেই ডাকসু ও হল সংসদের কমিটি এখন মেয়াদোত্তীর্ণ। এ দুটি সংসদের পরবর্তী নির্বাচন কবে হবে, তা সুস্পষ্ট করে বলতে পারছেন না কেউ৷

কিন্তু তবুও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ডাকসুর জন্য নির্ধারিত ফি নেওয়া হচ্ছে।লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হচ্ছে ছাত্র সংসদটির কর্মকর্তা–কর্মচারীদের বেতন–ভাতা দিতে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ডাকসু মনোনীত পাঁচজন শিক্ষার্থী-প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিনেটের সদস্য হন। এই আনুষ্ঠানিক ফোরামে তাঁরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরার সুযোগ পান। সর্বশেষ ডাকসুর মনোনয়নে সিনেটের সদস্য হয়ে ভিপি নুরুল হক, জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ পাঁচজন সিনেটে প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা না থাকায় সিনেটে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্বও এখন বন্ধ হওয়ার পথে।

২৮ বছর পর ২০১৯ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে সচল হয় ডাকসু ও ১৮টি হল সংসদ। ওই নির্বাচনে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেল থেকে ভিপি পদে নুরুল হক এবং সমাজসেবা সম্পাদক পদে আখতার হোসেন নির্বাচিত হন। ডাকসুর বাকি ২৩ পদে জেতেন ছাত্রলীগের প্রার্থীরা। তাঁদের মধ্যে জিএস পদে গোলাম রাব্বানী ও এজিএস পদে সাদ্দাম হোসেন নির্বাচিত হন৷ এ ছাড়া ১৮টি হল সংসদের মধ্যে ১২টিতে ভিপি ও ১৪টিতে জিএস পদে জেতে ছাত্রলীগ। অন্য পদগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান। ডাকসুর ওই কমিটি ও হল সংসদের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রভাবে হলগুলোতে ‘গেস্টরুম নির্যাতনের’ মাত্রা কিছুটা কমেছিল৷ ডাকসু ও হল সংসদ অচল হয়ে পড়ায় এখন হল নিয়ন্ত্রণকারী ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ভোটের জন্য ক্লিন ইমেজ বা স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখার চিন্তাও নেই। তাই তাঁরা এখন অনেকটা বেপরোয়া।

ডাকসু নির্বাচনের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ের সংস্কৃতি ভাঙতে শুরু করেছিল উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আখতার হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কথা বলবে এরকম কেউ আগে ছিল না৷ কিন্তু ডাকসুতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা যে দলেরই হোক, শিক্ষার্থীরা যখন তাদের কাছে গেছেন, তখন তারা এক ধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করেছেন৷ এবং শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার একটা চেষ্টা তারা করেছেন। এই পরিবেশটাও কিন্তু ডাকসু হওয়ার আগে ছিল না৷

আখতার হোসেন আরও বলেন, ডাকসু হওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোই চিহ্নিত হতো না,সেগুলো স্বীকার করা হতো না। কিন্তু ডাকসু হওয়ার পরে এগুলো নিয়ে আলোচনা হওয়া শুরু হয়। সমস্যা চিহ্নিত হওয়া শুরু হয়। এটা খুবই পজিটিভ একটা দিক বলে আমার কাছে মনে হয়৷

নির্বাচন না হওয়ায় ডাকসু ও হল সংসদের কার্যক্রম সেভাবে নেই। তবে ডাকসুর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতাবাবদ ব্যয় বাড়ছে। গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে ডাকসুর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হয়েছিল ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা৷ চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা৷ অর্থাৎ বেতন-ভাতাবাবদ খরচ বাড়ছে ১১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দপ্তরের তথ্যমতে, ডাকসু ও হল সংসদের ফি হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আগের মতো বছরে ১২০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এখন ডাকসুর কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তা–কর্মচারীদের অলস বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁরা জানান, এখন তেমন কোনো কাজ নেই। ডাকসু ভবনের কক্ষগুলো পরিষ্কার রাখা, ডাকসুর সংগ্রহশালা ও কার্যালয় খোলা রাখেন তাঁরা।

ডাকসুর কার্যক্রম সেভাবে না থাকায় এ খাতের ব্যয়কে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থের অপচয়’ বলে মনে করেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। তিনি বলেছেন, ‘অচল ডাকসুর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন–ভাতায় এভাবে অর্থ খরচ করা সংগতিপূর্ণ কাজ নয়।’

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেন ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..